শিশুদের বয়স অনুয়াযী শিক্ষা দান ও স্কুলে ভর্তীর ব্যবস্থা একটি গুরুত্ব পূ্র্ন বিষয়--সৌমেন দাস || প্রবন্ধ || অকপট অনুসন্ধান

0


বর্তমান সময়ে ভারতে যে শিক্ষা ব্যবস্থা চলছে তা অনেকাংশে নির্ভর করে শিশুর মনস্তত্ত্বের বিষয়ের উপর।কারন,পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজন শিশু পরিণত স্বাভাবিক বয়স। বর্তমানে ভারত সরকার এবং রাজ্য সরকার যৌথ প্রয়াসে চালু হয়েছে (২০১০ সালে) ভর্তী করন কর্মসূচী।এই ভর্তীকরন কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে শিশুদের আইনত (৬ বছর) বয়স সিদ্ধ হলেই,তারা ভর্তী কর্মসূচীতে অগ্রাধীকার পাবে।

JAJABOR IMAGE KIDS GO TO SCHOOL
শিশুদের কে স্কুলে নিয়ে যাওয়া

অর্থাৎ শিশুর শিক্ষার প্রয়োজনে তার স্বাভাবিক পরিণত বয়স একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।একথা সত্যি শুধুমাত্র পরিণত বয়স নয় পরিণত ব্যাক্তিত্বেও প্রয়োজন।আর এই পরিণত ব্যক্তিত্ব্য নির্ভর করে সঠিক বিকাশের উপর।তাই অভিভাবক দের উচিত সঠিক বয়সেই শিশুকে ভর্তী করা।কিন্তু এখন বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায় ২/২ বছর থেকে তিন বছরেই শিশুদেরকে বিদ্যালয়ে ভর্তী করা হচ্ছে।অভিভাবক দের যুক্তি- ছোটো থকে স্কুলে যাতায়াত করলে সবার সাথে মিশলে এবং ছোটো থেকে পড়াশুনা শিখলে সে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে।এখানেই একটি বড় প্রশ্ন,ধরে নিলাম যে ছোটো থেকে স্কুলে যাওয়া,লেখাপড়া শেখা,বন্দুদের সাথে মেশা প্রভিতিতে শিশুর অগ্রগতি ঘটছে,তাহলে ৬ বছর বয়সে অথাৎ আইনত পরিণত বয়সে যদি সে বিদ্যালয়ে ভর্তী হয়,সে ক্ষেত্রে কি অগ্রগতি ঘটবে না? সে তো অনেকটায় পরিনত।আর তাতে তার কি সামাজিক বিকাশ ঘটবে না?      

অভিভাবকের সাথে শিশুরা

আসলে তা নয় এখকার মা-বাবা রা ভাবেন যে,শিশুদের কে শিক্ষায় পারদর্শী করতে ছোটো থেকে ট্রেনিং দেওয়া প্রয়োজন।আর তার ফলশ্রুতি আনুযায়ি বিভিন্ন প্রাইভেট বিদ্যালয়ে(৩-৪ বছরের শিশুদের জন্য) প্রি-অঙ্কুর,(৪-৫ বছরের শিশুদের জন্য) অঙ্কুর,(৫-৬ বছরের শিশুদের জন্য) নাসারি স্তর দেখা যায়। কিন্তু আমরা জানি মানব জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান হল শিশুকাল(বাল্যকাল)।যদি পরিণত বয়সে শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয় তাহলে তাকে সঠিক ভাবে শেখানো সম্ভব হয়।কারন এই সময় থেকে শিশুর জীবনের বিভিন্ন বিকাশ শুরু হয়।এই বয়সেই দলগত চেতনার পাশাপাশি সহযোগিতা মনোভাবের বিকাশ বৃদ্ধি পায়।সামাজিক পরিস্থিতি অনুযায়ী আবেগ নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা জন্মায়। 

তবে যখন দেখি যে ছোটো ছোটো ছেলে মেয়েরা পিঠে ভারী ভারী ব্যাগ নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে।আর এই দৃশ্য দেখার পর আমার একটা কথায় মনে হয়, রুশো, মন্টেসরী,ফ্রয়েবেল,রবীন্দ্রনাথ এদের  শিক্ষা দর্শন আজ ফিকে হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানের অবৈজ্ঞানিক শিক্ষা নীতির  জন্য।কোথাই যেন হারিয়ে যাছে শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য।তাই  কবি আক্ষেপ করে বলেছেন 
".....বাল্যকাল হইতে আমাদের শিক্ষার শিত আনন্দ নাই।কেবল যাহা – কিছু নিতান্ত আবশ্যক তাহায় কন্ঠস্থ করতেছি।তেমন করিয়া কোনোমতে কাজ চলে মাত্র।কিন্তু বিকাশ লাভ হয় না।"  




লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী

আপনারা আপনাদের মূল্যবান লেখা নির্দ্বিধায় আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমরা তা আমাদের অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশ করব।

ইমেল আইডি: contact.okopotanusandhan@gmail.com

লেখার ফরম্যাট: অভ্র ইউনিফাইড টাইপ কিপ্যাডে টাইপ করে লেখা পাঠাতে হবে।

ইমেলে যা উল্লেখ করবেন: আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং কোন ক্যাটাগরিতে লিখছেন তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top