ভালোবাসার টান-রিংকি পাল || অণুগল্প || অকপট অনুসন্ধান

0

বাসে পা রেখে মৌমিতা যেন বিড়ম্বনায় পড়ে যায়। কি করবে এখন কিছুই বোঝে উঠতে পারছে না। এত বছর পর  যে আবার এই মানুষটির মুখোমুখি এসে দাঁড়াতে হবে তা মৌমিতা স্বপ্নেও ভাবে নি। যার সঙ্গে সব সম্পর্কের ইতি টানা হয়ে গিয়েছিল অনেক বছর আগেই। আজ তারই পাশে বসে দুই ঘন্টার পথ অতিক্রম করতে হবে। কিন্তু উপায় নেই  পাশে বসতেই হবে। বাসে আর কোন সিট যে ফাঁকা নেই।

আজ থেকে দশ - বারো বছর আগে কলেজের একটি অনুষ্ঠানে দেবেশ আর মৌমিতার দেখা হয়েছিল। সেখান থেকেই তাদের বন্ধুত্ব। তারপর ধীরে ধীরে সেই বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণত হয়। তবে সেই প্রেম খুব বেশি দিন স্থায়ি হয় নি। প্রথম ছয়- সাত মাস সম্পর্কটা বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু বছর যেতে না যেতে কখন যে দু'জনের মাঝে অজানা সন্দেহের দেয়াল গড়ে উঠে কেউ বোঝতেই পারল না। আর এই দেয়াল এতটাই দৃঢ় হল যে শেষঅবধি সম্পর্কটাই ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেল। তখন থেকে দুই জনের জীবনের পথ  যেন পুরোটাই আলাদা আলাদা  হয়ে পড়ল। মৌমিতা, দেবেশ যে যার জীবনে ব্যস্ত হয়ে গেল। কারো জীবনে এক ফোঁটাও  সময় নি পিছন ফিরে তাকাবার। তবুও যে তারা সময় বের করে লুকিয়ে লুকিয়ে কোননা কোনভাবে একে অপরের  খবর নিত। এ যেন একের প্রতি অপরের ভালোবাসার টান।তবে  কখনো এরা সামনা সামনি এসে ভেঙ্গে যাওয়া সম্পর্কটা জোড়া লাগাবার  চেষ্টা করে নি। আবার নতুন করে কোনদিন কারো সঙ্গে সম্পর্কেও জড়ায় নি। 
আসলে সম্পর্ক গুলো ভেঙ্গে যাওয়ার ঠিক কোন কারণ থাকে না। একে অপরের প্রতি বিশ্বাসের অভাবেই সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়, ভেঙ্গে যায়। মানুষ সম্পর্কটাকে শেষ করে দেয়, কিন্তু ভালোবাসার টান শেষ করতে পারে না। আর সেই টানই হয়তো মৌমিতা ও দেবেশকে আজ এত বছর পর সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে।
 
ত্রিপুরা(ধর্মনগর)


লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী

আপনারা আপনাদের মূল্যবান লেখা নির্দ্বিধায় আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমরা তা আমাদের অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশ করব।

ইমেল আইডি: contact.okopotanusandhan@gmail.com

লেখার ফরম্যাট: অভ্র ইউনিফাইড টাইপ কিপ্যাডে টাইপ করে লেখা পাঠাতে হবে।

ইমেলে যা উল্লেখ করবেন: আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং কোন ক্যাটাগরিতে লিখছেন তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top