মাতৃ হৃদয়-রিংকি পাল
দশ বছর হয়েছে প্রতিমা আর কমলের বিয়ের। এখনও তাদের কোল আলো করে কোন সন্তান আসে নি।প্রতিমা অনেক ঠাকুরের কাছে মানত করেছে।অনেকবার ডাক্তার দেখিয়েছে।তবে কিছুতেই সন্তানের মুখ দেখা হচ্ছে না।কমল এনিয়ে সরাসরি প্রতিমাকে কোন দিন কোন কথা শুনায় নি।মনে মনে রাগ পোষে রয়েছে সেটা প্রতিমা ঠিকিই বোঝতে পারত। এতে প্রতিমার কিছু করার নেই।বাচ্চা তো আর পুতুল না যে বানিয়ে নেবে।প্রতিমা লক্ষ্য করে যে কমল আস্তে আস্তে দেরী করে বাড়ী আসা শুরু করে দিয়েছে।কথায় কথায় রেগে যায়।প্রতিমা সব মুখ বোঝে সহ্য করতে থাকে।কমলের বাড়ীর লোকেরা সব কিছুর জন্য প্রতিমার মাঝেই দোষ খুঁজে পায়। কমলও যেন বদলে গেছে এখন আর সে আগের মতো না।কিছু বোঝে ওঠতে পারছে না কি করবে।দিনে দিনে সব সহ্যের সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছে।কথায় কথায় বাড়ীর লোক শুনাছে"বরকে আটকে রাখার ক্ষমতা নেই, আজ অবধি একটা বাচ্চার মুখ দেখাতে পারলে না ছেলেটাকে।"প্রতিমা কিছুতেই বোঝাতে পারছে না যে ডাক্তার ওর মধ্যে কোন কিছু পান নি।আর কমল তো কোনদিন ডাক্তারের কাছে যেতেই চায় না।কমল ডাক্তারের কাছে গেলে হয়তো একটা সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত।কমলের একটাই কথা"ছেলেদের কোন সমস্যা হয় না।"কমলকে কিছুতেই বোঝানো যায় না সমস্যা যে কারোরই হতে পারে। কমল নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল। অবশেষে প্রতিমা নিজেকে ঘরবন্ধী করে নেয়। কারো সাথে মেলামেশা , কথাবার্তা কিছুই করে না।এভাবে মাসের পর মাস কাটতে থাকে। একদিন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে যে অনাথ বাচ্চাদের জন্য শিক্ষিকা খুঁজছে কোন এক এন. জি. ও. । তখনই প্রতিমা চলে গেল ঐ এন. জি .ও. তে। আর এদের পড়াতে পড়াতে মায়ের মমতায় নিজের বুকে টেনে নিল । এখন প্রতিমা শত কন্যা পুত্রের জননী।
লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী
আপনারা আপনাদের মূল্যবান লেখা নির্দ্বিধায় আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমরা তা আমাদের অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশ করব।
ইমেল আইডি: contact.okopotanusandhan@gmail.com
লেখার ফরম্যাট: অভ্র ইউনিফাইড টাইপ কিপ্যাডে টাইপ করে লেখা পাঠাতে হবে।
ইমেলে যা উল্লেখ করবেন: আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং কোন ক্যাটাগরিতে লিখছেন তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।


