আট বছর বয়সী মিহির।সে অন্য সমস্ত বাচ্চাদের থেকে অনেকটাই আলাদা। তার বয়সী বাচ্চারা যেখানে খেলার কথা ভাবতো সেখানে মিহির শুধুমাত্র তার বাবার স্বপ্ন পূরণের কথাই ভেবে যেত। মিহিরের মা মিনা দেবী অবশ্য সব সময় তাকে বলতো বাবার স্বপ্ন কিন্তু তোমাকেই পূরণ করতে হবে।মিহির খুব মন দিয়ে পড়াশোনা করত।পড়াশোনার পাশাপাশি সে স্বপ্ন দেখতে ভীষণ পছন্দ করতো কারণ তার বাবা মৃত্যুকালে তাকে বলে গিয়েছিল যে-আমার স্বপ্ন তুই পূরণ করবি বাবা।তুই যে আমার একমাত্র ভরসা আমার দেখা স্বপ্ন তোর মধ্যে দিয়েই আমি পূরণ হতে দেখতে চাই।মিহিরের বাবা চেয়েছিল মিহির যেন একজন কঠোর পরিশ্রমী সমাজসেবী হয়।মিহিরের বাবাও একজন সমাজসেবী ছিলেন কিন্তু বেশিদিন তিনি সমাজ সেবা করতে পারেননি।তাই তিনি তার শেষ ইচ্ছেটা মিহিরের মধ্য দিয়েই পূরণ হতে দেখতে চেয়েছিলেন।এই ছোট্ট মিহির রাস্তায় কাউকে বিপদে পড়তে দেখলে দৌড়ে ছুটে যেত সে পারুক আর না পারুক তার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত। ধীরে ধীরে মিহির বড়ো হলো এবং সমাজসেবী হিসাবে পরিচিতিও পেলো। সে তার পাড়ার লোকের কাছে স্নেহের ও ভালোবাসার পাত্র হয়ে উঠলো।যখন মিহির নিজের পরিচিতি পেল তখন সকল রাজনৈতিক দল যেন তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য।মিহির কে কেউ কোনো ভাবেই রাজী করাতে পারেনি।লোকে তাকে নানা ধরনের প্রলোভন দেখালো কিন্তু সে যেন তার দীঢ় প্রতিজ্ঞায় অনড়। সকল রাজনৈতিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে মিহির শুধু একটি কথাই বলেছিল-আমি নিজেকে পলিটিক্সে জড়াতে চাইনা। লোকে আমাকে সমাজসেবী বলে ভালোবাসে।আর আমি একজন সমাজসেবী হতে চেয়েছিলাম তাই হয়েছি এর থেকে বেশি কিছু চাইনা।
লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী
আপনারা আপনাদের মূল্যবান লেখা নির্দ্বিধায় আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমরা তা আমাদের অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশ করব।
ইমেল আইডি: contact.okopotanusandhan@gmail.com
লেখার ফরম্যাট: অভ্র ইউনিফাইড টাইপ কিপ্যাডে টাইপ করে লেখা পাঠাতে হবে।
ইমেলে যা উল্লেখ করবেন: আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং কোন ক্যাটাগরিতে লিখছেন তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।


