পুজো আসতে বাকি হাতে গোনা কয়েক দিন। আজ গোটা চারেক সেলাইয়ের অর্ডার পেয়ে পুজোর কড়া নাড়ার আওয়াজ বুঝতে পারলো আরতি, অন্য বছর এই সময় ছোট বোনের পুজো- পুজো রবে আরতিও রোজ পঞ্জিকা থেকে একটা করে দিন বিয়োগ করতো। কিন্তু গত সাত মাস ! জীবন যেন মরূদ্যানে দাঁড়িয়ে।
সেলাই মেশিনের চাকাটা ঘোরাতে ঘোরাতে আরতি চোখের সামনে সময় ঘড়ির কাঁটা ঘুরে গিয়ে দাঁড়ালো শৈশবের দরজায়। বছর পাঁচেকের আরতির হাতে মা একদিন ছোট্ট তুলতুলে এক জীবন্ত পুতুল তুলে দিল। পুতুলের শরীর দিয়ে কি সুন্দর একটা গন্ধ! হাসপাতালের সাফাইয়ের কাজ সেরে বাবা যখন রাতে বাজার করে ফিরত, তখন ওদের হরিজন পল্লীর ছোট্ট ঘরটায় আরতি আর নিয়তির বই পড়ার গুনগুন আওয়াজ আর মায়ের উনুনে চাপানো গরম ভাতের গন্ধ। স্বর্গ তো ওটাই ছিল।
-কাকী মা ঘরে আছো ? বাইরের বারান্দাতে প্রদীপের গলা শুনে ঘরের চৌকাঠে ওপারে এসো দাঁড়ালো আরতি।
উত্তরের অপেক্ষা না করে প্রদীপ বললো- নিয়তির হার্ট অপারেশনের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। কাল হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
ভাইরাসের সাথে লড়াই করা শত শত মানুষের সেবা দায়িত্ব নিয়ে বাবা নিজের জীবনের কাছে হেরে গেল। বাবা চলে যাওয়ার দু' মাসের মধ্যেই বোনের হার্টে ছিদ্র পেল ডাক্তার বাবু। গত সাত মাসে প্রদীপ ওদের পাশে বাবার ছায়া হয়ে রয়েছে। অথচ স্কুলের শেষ পরীক্ষা দিয়ে আসার পথে পাড়ার বখাটেদের অন্যতম প্রদীপের দেওয়া প্রেমের প্রস্তাবের উত্তরে ভরা রাস্তায় অজস্র অপমান করেছিল আরতি। তারপর এতো বছরে আরতির মুখোমুখি হয় নি এখনকার এ এলাকার বড় মিষ্টি দোকানটার মালিক প্রদীপ ঘোষ।
বৃষ্টিটা পুরোপুরি কমে নি, ঝিরিঝিরি পরছে। ঘরের পেছন রাস্তায় প্রদীপের সামনে এসে দাঁড়াল আরতি।
-কি উদ্দেশ্য নিয়ে এতো কিছু করছো তুমি?অসহায়তার সুযোগ নেবে? আরতির মুখে হাত চেপে প্রদীপ বলল- চাইলে সেদিনের পর অনেক কিছুই করতে পারতাম, সেদিন তোমার আমাকে পছন্দ না করার কারণ ছিল অনেক। গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রদীপ বলতে লাগল
- ভালোবাসা পবিত্র অনুভূতি। আমি যাকে ভালোবাসি তাকেও যে আমাকে ভালোবাসতেই হবে এরকম শর্ত নেই ,আরু। পুরুষকেও মানুষ ভেবে দেখ একবার, পুরুষই তো বাবা হয়।
বৈরী বাতাসে সন্ধ্যারতির প্রদীপের শিখা বড় বেশী দপদপ করছে।
সেলাই মেশিনের চাকাটা ঘোরাতে ঘোরাতে আরতি চোখের সামনে সময় ঘড়ির কাঁটা ঘুরে গিয়ে দাঁড়ালো শৈশবের দরজায়। বছর পাঁচেকের আরতির হাতে মা একদিন ছোট্ট তুলতুলে এক জীবন্ত পুতুল তুলে দিল। পুতুলের শরীর দিয়ে কি সুন্দর একটা গন্ধ! হাসপাতালের সাফাইয়ের কাজ সেরে বাবা যখন রাতে বাজার করে ফিরত, তখন ওদের হরিজন পল্লীর ছোট্ট ঘরটায় আরতি আর নিয়তির বই পড়ার গুনগুন আওয়াজ আর মায়ের উনুনে চাপানো গরম ভাতের গন্ধ। স্বর্গ তো ওটাই ছিল।
-কাকী মা ঘরে আছো ? বাইরের বারান্দাতে প্রদীপের গলা শুনে ঘরের চৌকাঠে ওপারে এসো দাঁড়ালো আরতি।
উত্তরের অপেক্ষা না করে প্রদীপ বললো- নিয়তির হার্ট অপারেশনের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। কাল হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে।
ভাইরাসের সাথে লড়াই করা শত শত মানুষের সেবা দায়িত্ব নিয়ে বাবা নিজের জীবনের কাছে হেরে গেল। বাবা চলে যাওয়ার দু' মাসের মধ্যেই বোনের হার্টে ছিদ্র পেল ডাক্তার বাবু। গত সাত মাসে প্রদীপ ওদের পাশে বাবার ছায়া হয়ে রয়েছে। অথচ স্কুলের শেষ পরীক্ষা দিয়ে আসার পথে পাড়ার বখাটেদের অন্যতম প্রদীপের দেওয়া প্রেমের প্রস্তাবের উত্তরে ভরা রাস্তায় অজস্র অপমান করেছিল আরতি। তারপর এতো বছরে আরতির মুখোমুখি হয় নি এখনকার এ এলাকার বড় মিষ্টি দোকানটার মালিক প্রদীপ ঘোষ।
বৃষ্টিটা পুরোপুরি কমে নি, ঝিরিঝিরি পরছে। ঘরের পেছন রাস্তায় প্রদীপের সামনে এসে দাঁড়াল আরতি।
-কি উদ্দেশ্য নিয়ে এতো কিছু করছো তুমি?অসহায়তার সুযোগ নেবে? আরতির মুখে হাত চেপে প্রদীপ বলল- চাইলে সেদিনের পর অনেক কিছুই করতে পারতাম, সেদিন তোমার আমাকে পছন্দ না করার কারণ ছিল অনেক। গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে প্রদীপ বলতে লাগল
- ভালোবাসা পবিত্র অনুভূতি। আমি যাকে ভালোবাসি তাকেও যে আমাকে ভালোবাসতেই হবে এরকম শর্ত নেই ,আরু। পুরুষকেও মানুষ ভেবে দেখ একবার, পুরুষই তো বাবা হয়।
বৈরী বাতাসে সন্ধ্যারতির প্রদীপের শিখা বড় বেশী দপদপ করছে।
লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী
আপনারা আপনাদের মূল্যবান লেখা নির্দ্বিধায় আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমরা তা আমাদের অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশ করব।
ইমেল আইডি: contact.okopotanusandhan@gmail.com
লেখার ফরম্যাট: অভ্র ইউনিফাইড টাইপ কিপ্যাডে টাইপ করে লেখা পাঠাতে হবে।
ইমেলে যা উল্লেখ করবেন: আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং কোন ক্যাটাগরিতে লিখছেন তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।
