ঐতিহ্যে উপেক্ষার চাদর: প্রসঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুর – ড. সমিত ঘোষ || প্রবন্ধ || অকপট অনুসন্ধান

0

ঐতিহ্যে উপেক্ষার চাদর: প্রসঙ্গ দক্ষিণ দিনাজপুর – ড. সমিত ঘোষ


প্রতিবছর ১৯ থেকে ২৫ শে নভেম্বর World Heritage Week পালিত হয় বিশ্বজুড়ে । সে নিয়েই দু'চার কথা। দক্ষিণ দিনাজপুর মানেই পুরাকীর্তি ও প্রত্ন সম্পদের ভান্ডারের সন্ধান । ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্যতম আকর ভূমি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা । অখন্ড দিনাজপুরের কোটিবর্ষ, পুণ্ড্রবর্ধন, দেবকোট, ও বরেন্দ্রভূমির একটা অংশ ছিল আজকের দক্ষিণ দিনাজপুর । পুরাকীর্তির স্বর্ণভূমি এই জেলা । 'একডালা' রাজ্য সংরক্ষিত প্রত্ন এলাকা (১৯৬৪খ্রিঃ) এবং এ.এস.আই সাইট 'বাণগড়। এ.এস.আই সংরক্ষিত আতা শাহের দরগা । তবে সম্প্রতি কুশমন্ডি থানা হেরিটেজ স্বীকৃতি পেয়েছে । এছাড়া জেলার ভাগ্যে তেমন কিছু জোটেনি । সময়ের সাথে দিনাজপুর বিভিন্নভাবে খন্ডিত হয়েছে । একসময়ের অখন্ড দিনাজপুর দেশভাগের পর বিভাজিত হয়েছে এবং আত্রেয়ী পাড়ের এই অংশের নাম হয়েছে পশ্চিম দিনাজপুর । ৪৭ এর পশ্চিম দিনাজপুর খন্ডিত হয় । ১৯৯২ সালের ১লা এপ্রিল পশ্চিম দিনাজপুর জেলা বিভক্ত হয়ে উত্তর দিনাজপুর ও দক্ষিণ দিনাজপুর নামে পরিচিত হয় । বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় নয়টি থানা হল বালুরঘাট, হিলি, কুমারগঞ্জ, তপন, গঙ্গারামপুর, বংশীহারী, হরিরামপুর, কুশমন্ডি ও পতিরাম ।

সম্ভবত বৌদ্ধ দেবী মূর্তি তারা।

এস. কেসরস্বতী ১৯৩২,১৯৩৩ ও ১৯৩৫ সালে দিনাজপুরে আসেন । এ সময় তিনি পাথরঘাটা, বংশীহারি, মহীপাল দীঘি, করজ্ঞী, চিরামতি নদীর দুই পারের গুরুত্বপূর্ণ স্থান আমিনপুর, দেহাবন্দ, পতিরাজ, আদ্যখন্ড, মাহাতুর, জগদলা, মহেন্দ্র ও একডালা পরিদর্শন করেন । তিনি "Forgotten Cities of Bengal" নামে একটি নিবন্ধ লেখেন যা পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয় । এই গ্রন্থ থেকে একডালা সম্পর্কে নানা তথ্য জানা যায় । পরবর্তীকালে ইলিয়াস শাহ, ফিরোজ শাহ, সিকান্দর শাহ, হোসেন শাহ সম্পর্কিত নানা তথ্য উঠে আসে । "গৌড়ের ইতিহাস", "চৈতন্যভাগবত", "রিয়াস-উস- সালাতিন", "তারিখ--ফিরোজশাহী" গ্রন্থে একডালা সম্পর্কে নানা তথ্য রয়েছে । ঐতিহাসিক ও পুরাতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতে একডালা বেশ সমৃদ্ধ অঞ্চল । বেশ কিছু হিন্দু স্থাপত্যের নিদর্শন রয়েছে । একডালা থেকে পাওয়া গেছে বিষ্ণমূর্তি, গজসিংহমূর্তি, যোগীমূর্তি, নারায়ণমূর্তি সহ অন্যান্য মূর্তি । বিষ্ণুমূর্তিটি প্রায় অষ্টম শতাব্দীতে ধর্মপালের ২৬ তম রাজ্য বৎসরের সমসাময়িক । একডালার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল জগদ্দলা । একডালা প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাসের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি করেছে ।

বাণগড়ের প্রত্ন নিদর্শন,গঙ্গারামপুর থানা ।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুরাক্ষেত্র হলো গঙ্গারামপুর থানার রাজীবপুর মৌজার বাণগড় । বাণগড়কে নিয়ে একদিকে রয়েছে জনশ্রুতি, লোকশ্রুতি, কিংবদন্তি, পৌরাণিক কাহিনী, আখ্যান, শ্রুতি, কল্পকথা, অতিকথা তেমনি অপর দিকে রয়েছে ইতিহাস, ঐতিহ্য, পুরাতত্ব এবং পুরাক্ষেত্র । মিথ ও ইতিহাসের মেলবন্ধনে বাণগড় প্রবহমান । বাণগড়ে এ পর্যন্ত তিনবার প্রত্ন খনন হয়েছে । ১৯৩৮-৪১,২০০৭ এবং ২০০৯-১০ । মোট সাতটি অধিবসতির স্তর পাওয়া গেছে : ) প্রাক মৌর্য যুগ ২) মৌর্য যুগ ৩) শুঙ্গ যুগ ৪) কুষাণ যুগ ৫) গুপ্ত যুগ ৬) পাল যুগ ও সেন যুগ ৭) সুলতানি যুগ । তবে আগামী দিনের গবেষণা ও খননে এই যুগ বিভাজন পরিবর্তিত হতেই পারে । বাণগড়ে পাওয়া গেছে ইতিহাসের নানা উপাদান । পোড়ামাটির মেঝে, ওয়াচ টাওয়ার, কুষাণ যুগের মুদ্রা, নর্দান ব্ল্যাক পোলিশড পটারী, মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, দূর্গ, পোড়ামাটির বাসন ইত্যাদি । ২০০৯-১০ সালে এ.এস.আই তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করেছিল যে বাণগড়ের সভ্যতা সংস্কৃতি প্রায় ২৫০০ রছরের পুরোনো । তবে আগামী দিনের গবেষণায় বাণগড়ের কালপঞ্জীর পরিবর্তন হতে পারে । তবে লোলুপ মানুষের নখরাঘাতে বাণগড় আজ ক্ষতবিক্ষত । তবে আশার কথা শোনা যাচ্ছে বাণগড় নিয়ে নতুন করে পর্যটন প্রকল্প গড়ে উঠছে ।

করদহের শিব মন্দির,তপন থানা।

২০১২-১৩ সালে পতিরাম থানার খাঁপুরের সিংহবাহিনী মন্দিরটি ওয়েষ্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশনের প্রতিনিধিদল দুবার পরিদর্শন করেছিল । কিন্তু প্রায় এক দশক অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও হেরিটেজ হয়নি । টেরাকোটা শৈলীর মন্দিরটি একটি অপূর্ব নিদর্শন । বর্তমানে ভগ্নপ্রায় । সংস্কার না হলে অচিরেই ভেঙ্গে পড়বে । খাঁপুর যেমন তেভাগা আন্দোলনের স্মৃতি বহন করছে তেমনি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় সিংহবাহিনী মন্দির । তবে মন্দিরটি বর্তমানে প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত । পতিরামে রয়েছে বৃটিশ আমলের গেস্ট হাউস । সেটিও ভগ্নদশায় রয়েছে । প্রয়োজন সংস্কারের ।

হরিরামপুর থানার বৈরাট্টা একটি ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান । হরিরামপুরে রয়েছে মহাভারতের স্মৃতি পটভূমিকায় আলোকিত বৈরাট্টা গ্রাম । জনশ্রুতি, মৎসদেশের অবস্থান, বিরাট রাজার কাছারী বাড়ি এই অঞ্চলেই ছিল । বৈরাট্টাতেই রয়েছে সুপ্রাচীন শমীবৃক্ষ । এর সাথে মহাভারতের পান্ডবদের যোগ রয়েছে । যদিও শমীবৃক্ষ সম্পর্কে বিজ্ঞান ভিন্ন কথা বলে । দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একদম সীমান্ত ও উত্তর দিনাজপুর লাগোয়া একটি অঞ্চল হলো আমাতি । অনেক গবেষক বলেন, পাল রাজধানী রামাবতী হলো বর্তমান আমাতি । সন্ধ্যাকর নন্দী রামচরিতে পাল রাজধানী রামাবতীর বিবরণ দিয়েছেন । আমাতিতে প্রচুর পাথরের দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে ।আমাতি ইতিহাসের নানা স্বাক্ষ্য বহন করছে ।

প্রত্ন নিদর্শন, দিনাজপুর, বাংলাদেশ।

বংশীহারী থানার প্রতিটি অঞ্চলে পুরাতত্ব সমৃদ্ধ । এখানকার জগদলা গ্রামে অবস্থিত ছিল জগদ্দল মহাবিহার । এই গ্রামের আনাচে-কানাচে এখনো এই বিহারের নানা নিদর্শন দেখা যায় ।এখানে নানা মূর্তি পাওয়া গেছে । বালুরঘাট কলেজের প্রয়াত অধ্যাপক অচিন্ত কৃষ্ণ গোস্বামী বংশীহারীর পুন্ডিগ্রাম ও ওখানকার দিঘি থেকে অনেক দেবদেবীর মূর্তি সংগ্রহ করেছিলেন ।এগুলির মধ্যে ছিল অবলোকিতেশ্বর, সূর্য, বিষ্ণু, মনসা, পদ্মপানি ইত্যাদি । হরিরামপুর জুড়ে রয়েছে আলতা দীঘি, মালিয়ান দীঘি, গড় দীঘি, হাতিডোবা দীঘি । এইসব দীঘির সঙ্গে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও পুরাতত্ব মিশে আছে । এখানে রয়েছে আদ্যখন্ড, মাহাতুর, মহেন্দ্র, পতিরাজ ইত্যদি সমৃদ্ধ অঞ্চল । মহেন্দ্র গ্রামে গদাধাম নামে একটি উল্লেখযোগ্য ঢিবি আছে । পতিরাজে একটি স্তুপ আছে । এসব অঞ্চল থেকে বিভিন্ন সময়ে উঠে এসেছে কোষ্ঠী পাথর ও বেলে পাথরের মূর্তি । পাওয়া গেছে টেরাকোটার কাজ, পাথরের সিলিং, রাজবাড়ির তোরণ, বিভিন্ন মুদ্রায় বুদ্ধমূর্তি, হিন্দু দেব দেবীর মূর্তি (বিষ্ণু, মনসা, সূর্য, গনেশ) ইত্যাদি । বাংলাদেশের বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতি, রাজশাহী সংগ্রহশালা, দিনাজপুর সংগ্রহশালা, কলকাতার আশুতোষ সংগ্রহশালা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সংগ্রহশালা ও বালুরঘাট কলেজ মিউজিয়ামে এই অঞ্চলের প্রত্নসম্পদ সংরক্ষিত আছে ।

কুশমন্ডি থানার মহীপাল গ্রামে অবস্থিত মহীপাল দীঘি । অনেকে বলেন পাল রাজা দ্বিতীয় মহীপালের নামে দীঘিটির নামকরণ হয়েছে । দীঘিটির সামান্য দূরত্বে অবস্থিত নীলকুঠি । ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে মিশনারি জন টমাস এই নীলকুঠির ম্যানেজারের দায়িত্ব নিয়ে এসেছিলেন । ইনি ছিলেন কেরি সাহেবের বন্ধু । এই নীলকুঠি আজ ধ্বংসপ্রাপ্ত । মহীপাল গ্রামের পন্ডিত গোলকনাথ শর্মা কেরীর মুনসি হন । মহীপাল দীঘির পূর্বপাড়ে রাংলার প্রথম সতীদাহ হয়েছিল । ১৮০৩ খ্রিস্টাব্দে শিক্ষক গোলকনাথ শর্মার মৃত্যু হলে তার স্ত্রী স্বামীর সাথে সহমরণে যান । বাংলার ছাপাখানার সূতিকাগার ছিল মহীপাল ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চল ।

মনোহলি জমিদারবাড়ি ও পতিরাম জমিদারবাড়ি এ দুটোই জেলার উল্লেখযোগ্য জমিদারবাড়ি (স্থাপত্যের দিক থেকে। তবে স্থাপত্য বৈচিত্র্যে মনোহলি জমিদারবাড়ি আর্কষণীয় । ২০১২-১৩ সালে একে সংরক্ষণের জন্য চেষ্টা করা হয়েছিল । পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশনে সব তথ্য পাঠানো হয়েছিল এবং তৎকালীর সেক্রেটারি এর সঙ্গে কথাও হয়েছিল । মনোহলি জমিদার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে হেরিটেজ স্বীকৃতি নিয়ে কথাও হয় । এরপর বিভিন্ন গ্রন্থ সহ নানা পত্র পত্রিকাতে (দৈনিক সংবাদপত্র ও ক্ষুদ্র পত্র পত্রিকাতে) একাধিকবার লেখালেখি হয়েছে । জল অনেকদূর গড়িয়েছে । কিন্তু হেরিটেজ হয় নি ।

মনোহলি জমিদারবাড়ি, তপন, দক্ষিণ দিনাজপুর

কুমারগঞ্জের নাককাটি থেকে বর্মনপাড়া অঞ্চল পুরাক্ষেত্র হিসাবে প্রসিদ্ধ । ধাধোলপাড়াতে কিছু পুরাকীর্তির নমুনা রয়েছে । দেবী চৌধুরানীর সঙ্গে এই অঞ্চলের যোগাযোগ ছিল । দেবী চৌধুরানী এখানকার মন্দিরে পুজো দিয়ে ডাকাতির উদ্দেশে বের হতেন । এখানকার উল্লেখযোগ্য অঞ্চল হলো দেবগ্রাম, দাউদপুর, মোহনা ইত্যাদি ।

ভাতশালা দক্ষিণ দিনাজপুরের একেবারে সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম । এখানে রয়েছে প্রচুর নিদর্শন । পালসেন যুগের বহু ভগ্নপ্রায় প্রথম তাত্ত্বিক নিদর্শন দেখা যায় । একটি বড় দীঘি রয়েছে দীঘির পশ্চিম পার বাঁধানো, এছাড়া বেশ কয়েকটি বড় বড় পাথরের স্তম্ভ রয়েছে । একসময় এখানে একটি চওড়া দেওয়াল ছিল । আজ সেই দেওয়াল বিলুপ্ত দেওয়ার সামান্য ভগ্নাংশের চিকন পাতলা যায় ।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সীমান্ত লাগোয়া গ্রাম হল হিলি । হিলির অদূরে প্রাঞ্জল গ্রামে কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান পাওয়া গেছে । এখানকার মাতাস গ্রামে 'রাজার ভাঙ্গা' বলে একটি উঁচু ঢিবি আছে । এই থানার বিনশিরাও পুরাতত্ব সমৃদ্ধ । এখানকার রথযাত্রা উৎসব বিখ্যাত । কুরমাইল, চিঙ্গিসপুর অঞ্চলে নানা নিদর্শন পাওয়া গেছে । তিওড়ে একটি প্রাচীন কালী মন্দির আছে । বৈগ্রামে একটি তাম্রশাসন পাওয়া গেছে ।

ভিকাহারের মকদুম শাহ জালালের দরগা, গঙ্গারামপুরের শাহ আতারের দরগা, তপনের বাসরের দরগা, বংশীহারীর ন্যাংড়া পীর, রাজীবপুর চার্চ, বালুরঘাটের ব্যাপটিস্ট চার্চ, হিলির জৈন মন্দির, ভায়োরের মন্দির, দিনাজপুরের চামুন্ডা, দিনাজপুরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বুড়া কালী ইত্যাদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য নিদর্শন । মন্দির মসজিদ, দরগা, পীরস্থান, লৌকিক দেবী, শ্মশান, গোরস্থান, গ্রেভইয়ার্ড, জমিদারবাড়ি, নদী, দীঘি, জলাশয় এ সবকিছুকে নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মিশ্র সংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করে চলেছে ।

এই আলোচনার সূত্র ধরেই বলা যায় ২০১০ সালে পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি চুক্তি (MOU) স্বাক্ষরিত হয় । হেরিটেজ প্রজেক্ট এর টিম উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জনপদ ঘুরে ৩৭১ টি সৌধকে হেরিটেজ চিহ্নিত করেছিল । দক্ষিণ দিনাজপুরের চিহ্নিত হেরিটেজের সংখ্যা ছিল ১০১ টি । প্রতিবছর ১৯ থেকে ২৫ শে নভেম্বর World Heritage Week পালিত হয় বিশ্বজুড়ে । কিন্তু অদ্ভুতভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কোন স্থাপত্যই সেভাবে হেরিটেজ এর মর্যাদা পেল না, ভালো করে বলতে গেলে হেরিটেজ এর কাজ শুরু হল না । এখন প্রশ্ন উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে কিছু কাজ শুরু হলেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ব্রাত্য কেনএম.পি, এম.এল., মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতারা তো রয়েছেন । তাহলে এ জেলায় কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে কেনরাজধানীর সঙ্গে জেলার নেতা মন্ত্রীদের সংযোগের কি কোন সমস্যা থেকে যাচ্ছেপ্রশ্ন অনেক কিন্তু উত্তর কম । জেলার নয়টি থানার বেশ কিছু পুরাকীর্তির শীঘ্রই সংস্কারে ওয়েষ্ট বেঙ্গল হেরিটেজ কমিশন, .এস.আই, পৌরসভা, পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে নতুবা আর কয়েক বছরের মধ্যেই এরা কালের অতলে হারিয়ে যাবে । জেলার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে । বাকীদের অন্তত সংরক্ষণ হোক । তা না হলে উত্তর প্রজন্মের জন্য আর কিছুই থাকবে না শুধু গ্রন্থিত আকারে কিছু মুদ্রিত তথ্য থেকে যাবে । প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতারা তৎপর হলে সহজেই সংরক্ষণ সম্ভব । ঐতিহ্যে উপেক্ষা থাকলে হারিয়ে যাবে আমাদের সোনালী অতীত । ইতিহাস ও ঐতিহ্য হারিয়ে গেলে যে আমরা নিঃস্ব!! 

লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী

আপনারা আপনাদের মূল্যবান লেখা নির্দ্বিধায় আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমরা তা আমাদের অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশ করব।

ইমেল আইডি: contact.okopotanusandhan@gmail.com

লেখার ফরম্যাট: অভ্র ইউনিফাইড টাইপ কিপ্যাডে টাইপ করে লেখা পাঠাতে হবে।

ইমেলে যা উল্লেখ করবেন: আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং কোন ক্যাটাগরিতে লিখছেন তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top