জীবন সংগ্রাম-রিংকি পাল
তিয়াসা জন্মের পরই মাকে হারায়।ঠাকুমার কাছে বড় হতে থাকে।যদিও ঠাকুমা নাতি
চেয়েছিলেন। বাবা ছয় মাস যেতে না যেতেই তিয়াসার জন্য নিয়ে আসেন নতুন মা।এবার
তিয়াসার দায়িত্ব নতুন মা এর উপর এসে পড়ে।এক বছর পর নতুন মা এর কোলে আসে
তিয়াসার ভাই।হাঁটতে বসতে তিয়াসাকে শুনতে হয় জন্মের পরই মাকে খেয়েছে, এর থেকে দূরে
সরিয়ে রাখো বাচ্চা ছেলেটাকে।তিয়াসার ষোলো বছর বয়সে ওর ঠাকুমা মারা যান।তখন থেকে
তিয়াসা আরো একা হয়ে যায়।পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টকর হয়ে উঠে।তিয়াসার
বাবা মেয়ের পড়াশুনার খরচা চালিয়ে যেতে পারবেন না।ছেলে হলে অন্য কথা ছিল।মেয়েকে
বিয়ে দেবার সময়ও অনেক টাকার ব্যাপার আছে।সব টাকা পড়াশুনার নীচে নষ্ট করলে হবে
না।
তিয়াসার নতুন মাকে ডেকে বলেন "আজ থেকে তিয়াসা বাড়ীতে তোমার কাজে
সাহায্য করবে।"ছোট ভাই লুকিয়ে লুকিয়ে দিদিকে কাজে সাহায্য করত।নতুন মা মাঝে
মাঝে কিছু টাকা তিয়াসার হাতে তুলে দিতেন। তিয়াসা অন্যের কাছ থেকে বই এনে পড়ে
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়।এরপরই তিয়াসার জীবনে মহাবিপত্তি নেমে আসে।তিয়াসার
বাবা মারা যান।তিয়াসার নতুন মাকে পাড়ার সবাই বলতে থাকেন মেয়েকে বিয়ে দিয়ে
দাও।তিয়াসা বাধ্য হয়ে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। বছর খানেক পর তিয়াসা একজন
নামকরা উকিল হয়ে যায়।ওদিকে তিয়াসার ভাইকে কেউ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে
যায়।তিয়াসার নতুন মা হন্নে হয়ে একজন ভালো উকিল খুঁজছেন।তখন এক ভদ্রমহিলার কাছ
থেকে তিয়াসার ঠিকানা পান আর ঐ খানে পৌছে দেখেন যে কালো কোট পরে বসে আছে তিয়াসা।
লেখা পাঠানোর নিয়মাবলী
আপনারা আপনাদের মূল্যবান লেখা নির্দ্বিধায় আমাদের কাছে পাঠাতে পারেন। আমরা তা আমাদের অনলাইন ম্যাগাজিনে প্রকাশ করব।
ইমেল আইডি: contact.okopotanusandhan@gmail.com
লেখার ফরম্যাট: অভ্র ইউনিফাইড টাইপ কিপ্যাডে টাইপ করে লেখা পাঠাতে হবে।
ইমেলে যা উল্লেখ করবেন: আপনার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং কোন ক্যাটাগরিতে লিখছেন তা উল্লেখ করতে ভুলবেন না।


